বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন অ্যাপটি উদ্বোধন করেন।
এর মাধ্যমে আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পোস্টাল ভোটের সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা। অ্যাপে নিবন্ধনের পর তাদের কাছে প্রতীকসহ ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। নিবন্ধিত ভোটাররা ব্যালটে টিক বা ক্রস চিহ্ন দিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ব্যালটে ‘না’ ভোটের অপশনও যুক্ত থাকবে। কোনো আসনে একমাত্র প্রার্থী থাকলে কেবল সেই আসনের ভোটাররাই ‘না’ ভোট দিতে পারবেন।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। অঞ্চলভেদে পাঁচ দিন করে নিবন্ধনের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫২টি দেশের প্রবাসীরা ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।
উত্তর আমেরিকার ১৪টি দেশ ও ওশানিয়ার দুটি দেশের ভোটাররা ২৪–২৮ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করবেন। ইউরোপের ৪২টি দেশে নিবন্ধন চলবে ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে নিবন্ধন শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর থেকে, যা চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যালট পেপার পাঠানো হবে একটি বিশেষ খামে, যার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে একটি ঘোষণাপত্র। ভোট দেওয়ার পাশাপাশি সেই ঘোষণাপত্রেও স্বাক্ষর করতে হবে ভোটারকে। তিনি নিজেই নিশ্চিত করবেন যে ব্যালটে ভোট তিনিই প্রদান করেছেন।
যদি কোনো ভোটার ব্যালট পেপার পাঠালেও ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না করেন, সে ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই ভোটকে বাতিল হিসেবে গণ্য করবেন। প্রবাসীদের পাশাপাশি এবার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দেশের ৭১টি কারাগারের বন্দি ও কয়েদিরা। তাদের জন্যও পৃথক নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করবে নির্বাচন কমিশন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব ও প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের পরিচালক কে এম আলী নেওয়াজ বিবিসি বাংলাকে জানান, মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই ও প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হলে অ্যাপে সংশ্লিষ্ট আসনের প্রার্থী তালিকা দেখা যাবে। ভোটাররা অ্যাপে ১১৯টি প্রতীকের মধ্যে পছন্দের প্রতীক শনাক্ত করে ব্যালটে টিক বা ক্রস চিহ্ন দেবেন।
প্রবাসী ভোটার প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান জানান, ভোটদান শেষে ব্যালটটি রিটার্ন খামে ভরে নিকটস্থ পোস্ট অফিসে পাঠাতে হবে। ডাকমাশুল আগেই প্রদান করা থাকবে, তাই খামটি সরাসরি বাংলাদেশে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।